কৃষি শিক্ষা দ্বিতীয় পত্রের তৃতীয় অধ্যায় (পশুপালন) থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সাজেশন দেওয়া হলো।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
১। বকনা কী? [কু. রা. য. দি. সি. বো. ২০১৭]
২। হে কী? [কু. রা. য. দি. সি. বো. ২০১৭]
৩। সুষম খাদ্য কী? [ঢা. রা. চ. ব. ২০২২; ঢা. য. দি. সি. বো. ২০১৮]
৪। বাকলিং কী? [কু. রা. য. বো. ২০১৯]
৫। ষাঁড় কী? [কু. রা. য. বো. ২০১৯]
৬। গোটলিং কী? [ঢা. য. দি. সি. বো. ২০১৮]
৭। সাইলেজ কী? [সকল বো. ২০২২; ঢা. চ. ব. বো. ২০১৭]
৮। দুগ্ধ খামার কী? [কু. চ. ব. ২০১৮; ঢা. চ. ব. বো. ২০১৭]
৯। মাটন কী? [কু, রা. চ. ব. বো. ২০১৮]
১০। বেবি কাফ কী? [সকল বো. ২০২৩]
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগলের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো। [কু. য. দি. বো. ২০২২; ঢা. য. দি. সি. বো. ২০১৮]
২। গরুকে সুষম খাদ্য খাওয়াতে হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [ঢা. চ. ব. বো. ২০১৭]
৩। সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো। [ঢা. য. দি. সি. বো. ২০১৮]
৪। গবাদি পশু পালনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। [কু. রা. য. দি. সি. বো. ২০১৭]
৫। সাইলেজ গরুকে কেন খাওয়াতে হয়? [সকল বো. ২০১৯]
৬। দুধের উৎপাদন প্রভাবক ব্যাখ্যা করো। [কু. রা. চ. ব. বো. ২০১৭]
৭। পাস্তুরিকৃত দুধ নিরাপদ কেন? [ঢা. চ. ব. বো. ২০১৭]
৮। ছাগলকে গরিবের গাভী বলা হয় কেন? [কু. য. দি. বো. ২০২২; ঢা. য. দি. সি. বো. ২০১৮]
অথবা, ছাগল পালন লাভজনক কেন? [সকল বো. ২০২৩]
৯। গাভীর দুধ উৎপাদন কম বেশি হয় কেন? [কু. রা. ব. চ. বো. ২০১৮]
১০। দুধকে আদর্শ খাদ্য বলার কারণ কী? [কু. রা. য. চ. বো. ২০১৯]
১১। দুধ পাস্তুরিকরণ করা হয় কেন? [সি. দি. বো. ২০২৩]
১২। গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানো হয় কেন? [সকল বোর্ড ২০২৩]
কতিপয় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১। মাটন: পূর্ণবয়স্ক খাসির মাংসকে মাটন বলে। [রা. কু. চ. ব. বো. ২০১৮]
২। বুলার: যে সকল গাভী সবসময় গরম অবস্থায় থাকে তাকে বুলার বলে।
৩। ষাঁড়: প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষ গরুকে ষাঁড় বলা হয়। [কু. য. রা. ২০১৯]
৪। বাকলিং: অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ছাগলকে বাকলিং বলে। [কু. য. রা. ২০১৯]
৫। ফরেজ: আঁশজাতীয় গো-খাদ্য, যেমন ঘাসকে ইংরেজিতে ফরেজ বলে।
৬। ইউ.এম.এস: ইউরিয়ার সাহায্যে খড় ও মোলাসেস প্রক্রিয়াজাত করে গবাদি পশুর জন্য তৈরিকৃত খাদ্যকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউএমএস বলে। [কু. রা. য. সি. বো. ২০১৭]
৭। হে: বিভিন্ন উন্নতজাতের ঘাস যেমন- নেপিয়ার, পারা, কাউপি, ভুট্টা ইত্যাদি যখন ফুল এসে ফল ধরা শুরু করে তখন সেসব ঘাস সংগ্রহ করে রৌদ্রে শুকানোর পর যে পশু খাদ্য তৈরি হয়, তাকে 'হে' বলে। [রা. কু. চ. দি. বো. ২০২২]
৮। সাইলেজ: খাদ্য মানের কোনো পরিবর্তন না করে যেসব সবুজ ঘাস ভবিষ্যতে গবাদিপশুর রসালো খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়, তাকে সাইলেজ বলে। [ঢা. রা. কু. চ. দি. বো. ২০২২; চ. ব. বো. ২০১৭]
৯। পশুর আবাসন: পশুর সুস্থভাবে বেঁচে থেকে অধিক উৎপাদনের জন্য আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে আশ্রয় প্রদান করাকে গৃহপালিত পশুর আবাসন বলে।
১০। সুষম খাদ্য: যেসব খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান আনুপাতিক হারে বিদ্যমান থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে।
১১। ফিড অ্যাডিটিভস: খাদ্যকে সুষম করার জন্য অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পূর্ব মিশ্র বা প্রিমিক্স হিসেবে দানাদার খাদ্যে মিশিয়ে গবাদি পশুকে খাওয়ানোকে বলে ফিড অ্যাডিটিভস।
১২। ইউ.এম.বি.: ইউরিয়া সারের সাথে ঝোলাগুর বা মোলাসেস এবং আরও কতিপয় খাদ্যোপাদান মিশিয়ে গবাদিপশুর একটি পুষ্টিকর ও পছন্দনীয় দানাদার খাবার তৈরি করাকে ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক বা ইউ.এম.বি বলে।
১৩। ফডার ক্রপ: যেসব ঘাস গবাদি পশুর জন্য চাষাবাদ করে উৎপাদন করা হয়, তাদেরকে সংক্ষেপে ফডার ক্রপ বলা হয়। যেমন-নেপিয়ার, ভুট্টা, জার্মান, গিনি ইত্যাদি।
১৪। বিপাকীয় রোগ: বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের বিপাকীয় গোলযোগের কারণে পশুর যেসব রোগ হয় তাদেরকে বিপাকীয় রোগ বলে।
১৫। প্রোটোজোয়া: প্রোটোজোয়া পশুর দেহে রোগ সৃষ্টিকারী এক ধরনের এককোষী জীব।
১৬। দুগ্ধ বা ডেইরি খামার: দুধ উৎপাদনের জন্য যে গাভীর খামার করা হয়, তাকে দুগ্ধ বা ডেইরি খামার বলে। [ঢা. কু. ব. চ. বো. ২০১৮]
১৭। কাফ স্টার্টার: বাছুরের উপযোগী বিশেষ দানাদার খাদ্য মিশ্রণ যাতে ২% এর অধিক আমিষ এবং ১০% এর কম আঁশযুক্ত খাদ্য থাকে তাকে কাফ স্টার্টার বলে।
১৮। মিল্ক রিপ্লেসার: সদ্যপ্রসূত বাছুরকে দুধের বিকল্প হিসেবে যে খাদ্য খাওয়ানো হয় তাকে মিল্ক রিপ্লেসার বলে।
১৯। গ্রুমিং: ব্রাশের মাধ্যমে পশুর দেহের ময়লা পরিষ্কার করাকে গ্রুমিং বলে।
২০। এফএমডি (FMD): গবাদির পশুর রোগ (Foot and Mouth diseases)। এর কারণে গবাদির মুখে ও খুরায় ঘা হয়।
২১। কলস্ট্রাম: পশুর বাচ্চা বাছুর ২৪ দিন আগের এবং ১২ দিন পরের ওলানে জমা হওয়া দুধ।
২২। বায়োসাপ: পচনশীল পচামুত্র ও পচাগাঢ়া পচিয়ে রাখার উপযোগী যে গ্যাস তৈরি করা হয় তাকে বায়োসাপ বলা হয়।
২৩। দুগ্ধ সংরক্ষণ: নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দুধ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষে সংরক্ষণ করাকে দুগ্ধ সংরক্ষণ বলে।
২৪। হরমোন: থাইরক্সিন গ্ল্যান্ডের গলার উপরভাগি হরমোন। [ঢা. চ. দি. সি. ব. ১৯]
২৫। গরুর ভাইরাসজনিত রোগ: অ্যানথ্রাক্স।
২৬। সংকর জাতের গরু: উন্নতজাতের ষাঁড়ের সাথে দেশি জাতের বকনা বা গাভীর প্রজনন ঘটিয়ে যে জাতের পশু সৃষ্টি করা হয়, তাকে সংকর জাতের গরু বলে।
২৭। রেড-ওয়াটার ফিভার: বাবেসিয়া নামক প্রোটোজোয়া গবাদি পশুর দেহে প্রবেশ করে রক্তের লোহিত কণিকার মাধ্যমে যে রোগ সৃষ্টি করে তাকে রেডওয়াটার ফিভার বলে।
২৮। দুগ্ধজ্বর: গাভীর বাচ্চা প্রসবের পর ক্যালসিয়ামজনিত খাদ্য ঘাটতির কারণে যে স্নায়বিক অক্ষমতা ও পক্ষাঘাত দেখা দেয়, তাকে দুগ্ধজ্বর বা মিল্ক ফিভার বলে।
২৯। বলদ: প্রজননক্ষমতা রহিত করা অর্থাৎ খোজা করা পুরুষ গরুকে বলদ বলে।
৩০। পিপিআর: মরবিলি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ছাগলের রোগ যা গোট প্লেগ বা রিন্ডারপেস্ট নামেও পরিচিত।
৩১। দুধ নির্জীবকরণ: দুধের মধ্যে বিদ্যমান ক্ষতিকর জীবাণুসমূহ যে পদ্ধতিতে তাপ ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয় তাকে দুধ নির্জীবকরণ বলে।
৩২। হোল্ডিং পদ্ধতি: নিম্নতাপে দীর্ঘসময় দুধ পাস্তুরিকরণ করে সংরক্ষণ করাকে হোল্ডিং পদ্ধতি বলে।
৩৩। ফ্লাস পদ্ধতি: উচ্চ তাপে কম সময়ে দুধ পাস্তুরিকরণ করে সংরক্ষণ করাকে ফ্লাস পদ্ধতি বলে।
৩৪। পাস্তুরিকরণ: দুধে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া তাপ দিয়ে ধ্বংস করে অধিক সময় দুধ সংরক্ষণের পদ্ধতিকে পাস্তুরিকরণ বলে।
৩৫। শাল দুধ: বাচ্চা প্রসবের পরপরই গাভীর ওলানে যে রোগ প্রতিরোধী দুধ তৈরি হয় তাই শালদুধ। [সি. দি. বো. ২০২৩/.]
Post a Comment