লোড হচ্ছে...

উন্নত জাতের ছাগল এর পরিচিতি।

 উন্নত  জাতের ছাগল এর পরিচিতিঃ



১. ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল

২. যমুনাপারী জাতের ছাগল

৩. বিটাল জাতের ছাগল

১. ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলঃ


ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের প্রধান জাতের ছাগল ।

এ জাতের ছাগলকে কালো ছাগল বলা হলেও এদের গায়ের রং কালো ছাড়াও বাদামী, সাদা ও সাদা কালো মিশ্রিত হতে দেখা যায়।

এদের কান সোজা ও খাড়া কিšদ শিং বাঁকানো থাকে। এরা আকারে তুলনামূলক ছোট হয়।

এ জাতের ছাগল দ্রæত প্রজননশীল।

স্ত্রী ছাগল ৯-১০ মাস বয়সে প্রথম প্রজননক্ষম ও ১৪-১৫ মাস বয়সে প্রথম বাচচা প্রসব করে। সাধারণত প্রথম বারে ১টি এবং পরবর্তি প্রজননে ২-৩টি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।

এ জাতের ছাগল বছরে দু’বার গর্ভধারণ ও প্রতিবারে ১-২টি বাচ্চা প্রসব করে। তবে কখনও কখনও ৩-৪টি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করতে দেখা যায়।

এ জাতের ছাগী দুধ দেয় খুব কম। এমকি দুই এর অধিক বাচ্চা হলে দুধের ঘাটতি হয়। তবে উপযুক্ত খাদ্য ব্যব¯’াপনায় অনেক ছাগী দৈনিক ১-১.৫ লিটার দুধ দেয় এবং দুধ প্রদান কাল ২-৩ মাস।

পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী ছাগলের ওজন ১৫-২০ কেজি এবং পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ ছাগলের ওজন ২৫-৩০ কেজি হয়ে থাকে।

এ জাতের ছাগলের মাংস উন্নত , অত্যন্ত সুস্বাধু ও জনপ্রিয় মাংশ। সাধারণত ২০ কেজি ওজনের খাসী থেকে কমপক্ষে ১১ কেজি মাংশ পাওয়া যায়।

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়ার মান অনেক উন্নত , তাই বিশ্বব্যাপী এর চামড়ার চাহিদাও বেশী।

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল অত্যাধিক কষ্টসহিষ্ণু।

২. যমুনাপারী জাতের ছাগলঃ


এ জাতের ছাগলের উৎপত্তি মূলত ভারত। তবে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে এ জাতের ছাগল কিছু কিছু পালন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এ জাতের ছাগল রাম ছাগল নামে পরিচিত।

এদের শারীরিক রং কালো, বাদামী, সাদা বা বিভিনড়ব রঙের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে।

যমুনাপারী জাতের ছাগলের পা খুব লম্বা এবং কান লম্বা ও ঝুলানো থাকে।

শরীরের লোম লম্বা হয়। পিছনের পায়ের লোম বেশী লম্বা থাকে।

এরা আকারে বেশ বড় হয়।

পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ ছাগলের ওজন ৭০-৭৫ কেজি এবং পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী ছাগলের ওজন ৫০-৬০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে এদের চামড়া এবং মাংস তত উন্নত  নয়।

স্ত্রী ছাগল বছরে একটি করে বাচ্চা দেয়।

এদের দুধ উৎপাদন বেশি। একটি ছাগী প্রতিদিন ২-৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দিতে পারে।

এ জাতের ছাগল আবদ্ধ অব¯’ায় বা খামারে পালনের জন্য উপযোগী।

৩. বিটল জাতের ছাগলঃ


জাতের ছাগলের উৎপত্তি পাকিস্তান ও ভারতে। বাংলাদেশের অল্প কিছু এলাকায় ও এ জাতের ছাগল পালন করা হয়ে থাকে।

এরা কালো, সাদা, বাদামী বা কালো ও বাদামীর মধ্যে সাদা ফুটফুটে হয়ে থাকে।

এদের কান বড় ও ঝুলানো অনেকটা যমুনাপারী ছাগলের মত।

এদের শিং পিছনের দিকে বাঁকানো থাকে।

এরা আকারে বেশ বড় হয় এবং পা লম্বা হয়।

একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন ৬০-৭০ কেজি এবং একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ছাগলের ওজন ৪০-৫০ কেজি হয়ে থাকে।

এদের দুধ উৎপাদন ছাগলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। একটি ছাগী দৈনিক ৪-৫ লিটার দুধ দেয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post