লোড হচ্ছে...

মুরগির ক্যানিবলিজম রোগ


মুরগির কিছু কিছু রোগকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। অথচ  এইসব রোগের জন্যেও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ ক্যানিবলিজম/ Cannibalism বা ঠোকরা-ঠুকরি এ ধরনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ। নানা আকার ও বয়সের মোরগ-মুরগিতে রোগটি দেখা যায়।



সাধারণত খামারে ও আশেপাশে অত্যাধিক হৈচৈ, অত্যাধিক আলো ও তাপমাত্রা, খাবার বা পানির পাত্রের স্বল্পতা, খাদ্য উপাদানের প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে কম বেশী হওয়া, খনিজ পদার্থের স্বল্পতা, সর্বদা পিলেট খাওয়ানো, উচ্চ ক্যালোরী যুক্ত খাবার খাওয়ানো, বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকা, মুরগির গায়ে উকুন থাকা, ঘরে মাছি থাকা, ঠোঁট না কাটা ইত্যাদি কারণে ক্যানাবলিজম সৃষ্টি হতে পারে। ক্যানাবলিজমের ফলে ডিমের উৎপাদন কমে যায়, রক্তক্ষরণ, ডিম ভেঙে যাওয়া ও পায়ু পথে বেরিয়ে আসতে পারে।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধঃ
লেয়ারের ক্ষেত্রে ডিবিকিং করতে হবে। খামারে যথাযথ আলো ও প্রাকৃতিক বাতাস প্রবেশ করা নিশ্চিত করতে হবে। বাচ্চার ৬-১০ দিন বয়সে ঠোঁট কাটা, ঘরে লাল আলো ব্যবহার, আলোর তীব্রতা কমানো ও প্রতিটি মুরগির জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। ইলেকট্রোলাইট ও মিনারেলের ঘাটতি দূর করার জন্য ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে।

সূত্র ঃ লাইভস্টক ডায়েরি 

Post a Comment

Previous Post Next Post